নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: গত ১১ ডিসেম্বর রবিবার সোনারগাঁ থানা বিএনপি কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। থানা কমিটি ঘোষনার পর আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জান ভুইয়া। তবে তার পোষ্ট করা কমিটির সাথে মিল পাচ্ছেন না সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা কমিটির। তিনি কোথা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর ছাড়া কমিটির কাগজ পেল তা নিয়ে চলছে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে বিতর্ক।
কলাপাতা রেষ্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন
সাদিপুর ইউনিয়ন নেতা কর্মীরা জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৮ তারিখে ১০১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটিতে স্বাক্ষর করেন থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। সেই স্বাক্ষর করা কমিটির কাগজ অনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা না দিলেও প্রত্যেক নেতাকর্মী পেয়ে যান কমিটির স্বাক্ষর করা কাগজ। সেই কমিটিতে কামরুজ্জামান ভুইয়াকে সভাপতি ও আব্দুল রহমান সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই কমিটি বাদ দিয়ে আজ সন্ধ্যায় সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ও সীল ছাড়া সাদিপুর ইউনিয়ন কমিটির একটি পেপার তার ফেসবুকে পোষ্ট করেন। সেখানে দেখা যায় প্রথম দিক থেকে সবার নাম ঠিক থাকলে ২য় পেপার টিতে অনেকের নাম বাড়ানো হয়েছে যা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা কাগজে নাই। এছাড়া কামরুজ্জামান যে কমিটির পেপার পোষ্ট করেছেন সেখানে দেখা গেছে ১২১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি নাম উল্লেখ করেছেন যাদের অধিকাংশ জাতীয়পাটিতে যোগদান করেছেন। থানা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সীল স্বাক্ষর ছাড়া কামরুজ্জামান কিভাবে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে ১২১ করলেন এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা জানান, এটা কিভাবে সম্ভব? সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়েছেন এক কমিটি আর কামরুজ্জামান নিজে মনগরা দিয়েছেন আরেক কমিটি। তাহলে কামরুজ্জামানই থানা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক? যদি তাই হয় তাহলে মান্নান মোশারফ কি? আর মান্নান- মোশারফ সভাপতি থানা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হয় তাহলে কামরুজ্জামান কে? যিনি সভাপতি সেক্রেটারী স্বাক্ষর সীল বাদ দিয়ে নিজে মনগড়া কমিটি বানান।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জানান, বুঝ হওয়ার পর থেকে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউল রহমানের আর্দশকে বুকে লালন করে জাতীয়তাবাদী দল করে আসছি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশ মান্নান ও মোশারফের নেতৃত্বে দল করে যাচ্ছি। তিনি জানান, মান্নান ও মোশারফ ভাই যখন থানা কমিটির নেতৃত্ব পান তখন নতুন করে আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। আশা করে ছিলাম ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সাদিপুর ইউনিয়ন কমিটি পাবো। সেই স্বপ্ন আমার সফল হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ফেসবুকে দেখলাম মান্নান ও মোশারফ ভাইয়ের কমিটি বাদ দিয়ে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান নতুন একটি কমিটি গঠন করেছেন যেখানে ১০১ থেকে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১২১ করা হয়েছে। যাদের নতুন করে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে তাদের অনেকে জাতীয়পাটিতে ও আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। এখন আমার প্রশ্ন হলো কামরুজ্জামান থানা সভাপতির স্বাক্ষর বাদ দিয়ে তার নিজস্ব ক্ষমতায় কিভাবে কমিটি গঠন করেন। তাহলে কি মান্নান ও মোশারফের তুলনায় কামরুজ্জামান শক্তিশালী?